লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
বাংলাদেশের অ্যাংলিংকান সম্প্রদায় উপাসনার জন্য নির্মাণ করেছিল সেন্ট থমাস ক্যাথেড্রাল চার্চ। ১৮১৯ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। ঢাকা কারাগারের কয়েদিরা নাকি এটির নির্মাণে শ্রম দিয়েছিল। কলকাতার বিশপ রেজিনাল্ড হেবার ১৮২৪ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় এসে উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত এই গির্জাটির।
১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেদিনই প্রথম পূর্ব বাংলায় কোনো ভাইসরয়ের আগমন ঘটে। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় ও গভর্নর জেনারেল জর্জ নাথানিয়েল কার্জন ঢাকায় এসে এক উৎসবমুখর পরিবেশে কার্জন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। লর্ড কার্জনের নামে একটি সাধারণ পাঠাগার নির্মাণ করার জন্য ভাওয়াল এস্টেটের রাজকুমাররা...
ছবিতে যে অনন্য সুন্দর ভবনটি দেখা যাচ্ছে, তা ছিল এ দেশেই। ঢাকার দিলকুশায় অবস্থিত এই টাওয়ারটি ছিল ঢাকার নবাবদের দিলকুশা গার্ডেন প্যালেসের অংশ। ১৮৬৬ সালে নবাব খাজা আবদুল গণি এই জায়গাটি কিনে নেন জনৈক ই. এফ স্মিথ সাহেবের কাছ থেকে। সেখানে পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর ব্যবহারের জন্য তিনি একটি বাগানবাড়ি...
বাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
গান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পানাম নগর একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। ঐতিহাসিক এই নগর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়, বিশেষত এর নানা নান্দনিক স্থাপনার কারণে। তেমনি একটি প্রাচীন স্থাপনা পানাম-দুলালপুর সেতু। ইট-সুড়কির এই সেতুটি সতের শ শতকে নির্মিত হয়েছে পানাম নগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পঙ্খীরাজ খালের ওপর।
২১ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে ঢাকায় এলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো। তিনি এসে বললেন, ‘সব কুছ ঠিক হো যায়ে গা।’ ২২ মার্চ ভুট্টোর উপস্থিতিতে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক হলো। সবাই ভাবছিল, এইবার বুঝি একটা বোঝাপড়ার দিকে এগোচ্ছে আলোচনা।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণে দিয়েছিলেন স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায়
একেই বোধ হয় বলে কপাল। ছিলেন জিরো, হয়ে গেলেন হিরো। বলছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কথা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের আগে জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ছিল...
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
ভোর বা প্রভাতে উদ্বোধনী গান গেয়ে জনগণকে জাগানোর নামই প্রভাতফেরি। এটি প্রভাতফেরির আভিধানিক সংজ্ঞা। মূলত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে গান গেয়ে ভাষাশহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর যে যাত্রা, সেটিই আমাদের জন্য প্রভাতফেরি। ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কাকডাকা ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল...
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষাশহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কলেজের ১২ নম্বর ব্যারাকের পাশে নির্মাণ করা হয় প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি। এখানেই প্রথম শহীদ বরণ করেছিলেন শাহাদাত। এই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা করেছিলেন সাঈদ হায়দার।
১৯৫২ সাল। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় চার বছর আগে জিন্নাহর দেওয়া ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘কেবল উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ ৩ ফেব্রুয়ারি আবারও তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘জিন্নাহর নীতিতে বিশ্বাসী’ বলে দাবি করলেন।